জিডিপি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস অসামঞ্জস্যপূর্ণ : অর্থমন্ত্রী

বাংলাদেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের হার (জিডিপি) নিয়ে বিশ্বব্যাংক যে পূর্বাভাস দিয়েছে সেটাকে সম্পূর্ণ অসামঞ্জস্য (প্রিমেচুইর) বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

তিনি বলেন, এখনই এটা বলার সময় আসেনি। বিশেষ করে অঙ্ক ধরে বলার উপযুক্ত সময় এটা নয়। আমাদের সামনে ৮ মাসের তথ্য তো রয়েছেই। সেগুলো যাচাই করে কিছুদিন আগে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বলেছে এবার আমাদের প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। ফলে বিশ্বব্যাংকের এই পূর্বাভাসকে আমি সময় উপযোগী বা পরিপক্ক কোনটাই মনে করি না। কেন না করোনাভাইরাসের সারাবিশ্বের মত আমাদেরর জিডিপি কমবে। তবে আমাদেও এতোটা কমবে না।

কমপক্ষে ৬ শতাংশের ওপরে জিডিপি এ বছরও আমরা অর্জন করতে সক্ষম হবো। কেননা বাংলাদেশে করোনার প্রভাব পড়ার আগেই আমাদের অর্থ-বছরের ৮ মাস অতিবাহিত হয়ে গেছে। বাকি আছে মার্চ-জুন চার মাস। এ সময়ে যদি আমাদের শূন্য কিংবা নেগেটিভ গ্রোথও হয় তারপরও আগের ৮ মাসে আমরা যা অর্জন করেছি সেটা ৬ শতাংশের বেশিই হবে।

সোমবার বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত ‘সাউথ এশিয়া ইকোনমিক ফোকাস’ এক প্রতবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে এই পূর্বাভাসে বলা হয়, চলতি বছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়াবে ২ থেকে ৩ শতাংশ। আর দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারত সর্বোচ্চ ৪ দশমিক ৮ থেকে ৫ দশমিক ০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে।অন্যদেশগুলোর মধ্যে নেপাল, ভুটান বাদে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ নেগেটিভ গ্রোথে চলে যাবে। এর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সোমবার অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের প্রবৃদ্ধির প্রধান তিনটি খাত হলো কৃষি, শিল্প ও সেবা। আমাদের কৃষিখাতে করোনাভাইরাসের তেমন কোন প্রভাব পড়েইনি। এটা যদি দীর্ঘায়িত না হয় তাহলে কৃষিখাতে আমরা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সম্পূর্ণ প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হবো। আর শিল্প খাতে কিছুটা প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এটা কাটানোর জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগও নিয়েছি। একইভাবে সেবাখাতেও কিছুটা প্রভাব পড়ছে। আমরা স্বীকার করছি প্রবৃদ্ধি কমবে। কিন্তু এতোটা কমবে না।

 

“বিডি প্রতিদিন”

     আরো পড়ুন....

পুরাতন খবরঃ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
error: ধন্যবাদ!